।। নিজস্ব প্রতিবেদক,৫ জুন ২০২৫।।
বান্দরবানে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশুর হাট। তবে ক্রেতাদের পছন্দের তালিকায় পাহাড়ের গৃহপালিত গরুর সংখ্যায় বেশি। খামারিদের মোটাতাজা গরুর চেয়ে পাহাড়ীদের গৃহপালিত ছোট-বড় বিভিন্ন দামের গরুই বেশি কিনছে ক্রেতারা। স্থানীয় রাজারমাঠে, কালাঘাটা, বালাঘাটা ও গোয়ালিয়াখোলা চেমীরমুখ সাঙ্গু নদীর পাড়ে বসেছে কোরবানি গরু ছাগলের হাট। জেলার রুমা, থানচি, রোয়াংছড়ি এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাহাড়ী-বাঙালী গ্রামগুলো থেকে শত শত গরু ছাগল বিক্রির জন্য হাটগুলোতে নিয়ে আসে স্থানীয় বিক্রেতারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, হাটগুলোতে শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানি পশু কেনাবেচা। ছোটবড় অসংখ্য গরু ছাগল উঠেছে হাটে। খামারির মোটাতাজা পশুর চেয়ে গৃহপালিত পাহাড়ের গরু উঠেছে বেশি। ক্রেতাদের চাহিদাও গৃহপালিত পাহাড়ের গরু। ছাগলের তুলনায় কোরবানির পশু হিসেবে গরু কিনছেন ক্রেতারা। হাটের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছে।
কোরবানি পশু ক্রেতা হেলালউর রশিদ ও মো: মামুন বলেন, কোরবানি পশু কিনতে চেমিরমুখ হাটে এসেছি। এখানে ছোট-বড় বিভিন্ন আকারের গরু উঠেছে হাটে। পছন্দমত গরু কিনতে পেরেছি। দামও অন্যান্য হাটের তুলনায় কম।
বিক্রেতা গুংগুরু পাড়ার থোয়েচিং মারমা ও গোয়ালিয়াখোলার শাহাজান বলেন, হাটে কোরবানির পশুর চেয়ে ক্রেতার সংখ্যা কম। অন্যান্য বছরের তুলনায় বাজার মন্দা। বেচা বিক্রি আশানুরূপ হচ্ছেনা। প্রত্যাশার চেয়ে কমমূল্যে গরু বিক্রি করে দিয়েছি।
এ বিষয়ে বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো.শহীদুল্লাহ কাওছার বলেন, কোরবানি পশু হাটগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। জাল নোট শনাক্তে এক্সপার্ট বসানো হয়েছে। হাটগুলোতে পশু কেনাবেচা ও পরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে বান্দরবানে কোরবানি পশুর হাট
Previous Articleবান্দরবানে জেলা বিএনপির ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি ঘোষণা
Related Posts
Add A Comment