।। নিজস্ব প্রতিবেদক।।
উৎসবের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে কেক। কে কতটা আকর্ষনীয় কেক উপাস্থাপন করতে পারে উৎসবে সেটি নিয়েও চলে একধরণের নিরব প্রতিযোগীতা। যে কোনো উৎসবে কেক উপহার পাঠানোর সংস্কৃতিও বাড়ছে। সময়ের ব্যবধানে কেকের চাহিদা যেমন বাড়ছে, তেমনি কোন কেক কতটা স্বাস্থ্যসম্মত বিষয়টি নিয়েও সচেতনা বেড়েছে মানুষের মধ্যে।
তাই হোমমেড কেকের কদর বাড়ছে ঘরোয়া উৎসব আয়োজনে। চাহিদা থাকায় নারী উদ্যোক্তাদের অনেকেই ঘরে “হোমমেড” কেক বানাতে পারদর্শী হয়ে উঠছেন। বান্দরবান জেলায়ও কয়েকজন নারী নিত্যনতুন ডিজাইনের কেক বানিয়ে বেশ সাড়া ফেলেছেন।
তাদের একজন হলো: জান্নাতুল বাকাইয়া তাহা। প্রতিষ্ঠানের নাম Queen of tarts।
শখের বসে ২০২০ সালে কেক বানানোর কাজ শুরু করেন। কোভিড১৯ সময়ে লকডাউনে নিজেকে কর্মব্যস্ত রাখার মাধ্যমেই মূলত কেক বানানোতে পারদর্শী হয়ে উঠেন তিনি। দীর্ঘ ৫বছরে তিনি বর্তমানে সফল একজন উদ্যোক্তা। হোমমেড কেকের জগতে স্থানীয়ভাবে সবার পরিচিত জনপ্রিয় একটি প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছেন।
সফল নারী উদ্যোক্তা Queen of tarts স্বত্তাধিকারী বলেন, শখের বসেই কেক বানানোর কাজটি শুরু করেছিলাম। কেক বানানোর কাজটি কয়েকজন এক্সপার্টের কাছেই শিখেছি। এখনো প্রতিনিয়ত কাজের মাধ্যমে শিখছি। যেহেতু এটি আমার আবেগ, তাই আমি এই সম্পর্কিত রন্ধনশিল্প বিষয় নিয়েই পড়াশোনা করছি। পড়াশোনার পাশাপাশি আমার কেক বানানোর উদ্যোগে আমার পরিবারের সবার সহযোগীতা পাচ্ছি।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ফেসবুকে প্রচারের মাধ্যমে আমার হাতে বানানো হোমমেড কেক বিক্রি করে আমার মোটামুটি উপার্জনও হচ্ছে। উপার্জিত অর্থগুলো আমি ভবিষ্যতের জন্য জমাচ্ছি। আমার স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে একটি রেষ্টুরেন্ট খোলার। আমার বানানো কেক ছড়িয়ে পড়ুক দেশের আনাচে-কানাচে। জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী, বিভিন্ন দিবস এবং বর্ষপূর্তির কেক সরবরাহ করছি ক্রেতাদের পছন্দমত ডিজাইনে।
সফল নারী উদ্যোক্তার দাবী, বাজারের কেকের তুলনায় হোমমেড কেক অনেকবেশি স্বাস্থ্যসম্মত। একজন হোমেবেকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের বেকারির তুলনায় কেক তৈরিতে মানসম্মত উপাদান ব্যবহার করে থাকেন। হোম বেকারের কাছ থেকে আপনার পছন্দমত সাইজ এবং ডিজাইনের কেক বানিয়ে নিতে পারবেন, আর হোমবেকার অর্ডার কনফার্মের পর কেক তৈরি করেন। যেকারণে হোমমেড কেক স্বাস্থ্যসম্মত ফ্রেশ থাকে।