সামাজিক রীতিমত ধর্ষকের শাস্তি দিলো গ্রামবাসীরা
।। নিজস্ব প্রতিবেদক, বান্দরবান ১১ মার্চ ২০২৫।।
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলায় খেয়াং সম্প্রদায়ের ষোল বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে সড়ক নির্মাণ কাজের শ্রমিক। এ ঘটনায় স্থানীয় জনতা ঐ শ্রমিককে ধরে মাথার চুল ছাটায় করে মুখে কালি মেখে, গলায় জুতার মালা পড়িয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ মঙ্গলবার এ ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত ধর্ষক মো. জামাল হোসেন (৩২), সে রোয়াংছড়ি-রুমা সড়ক নির্মাণ কাজের নিয়োজিত শ্রমিক। তারবাড়ি বরিশাল জেলায়।
স্থানীয়রা জানায়, মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী সবসময় পাড়ার আশেপাশে ঘুরাঘুরি করে থাকেন। গত সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় সড়ক সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক মো. জামাল হোসেন খামতাং পাড়ার পাশে কবরস্থান এলাকায় একাপেয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ওই কিশোরীর চিৎকার শোনে পাড়ার লোকজন গিয়ে ওই ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনাটি পাড়ায় জানাজানি হওয়ার পর গ্রামবাসীরা অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে রাতভর খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। তবে পরদিন মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজের অন্যশ্রমিকরা তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেন। পাড়াবাসী অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে একটি স্কুলে আটকে রেখে রোয়াংছড়ি থানার পুলিশকে খবর দেন।
ভুক্তভোগীর ভাই রেভেন খেয়াং বলেন, রাস্তার কাজে নিয়োজিত জামাল হোসেন ভুক্তভোগী কিশোরী তার বোনকে রাস্তা থেকে টেনেহিঁচড়ে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে পাড়াবাসী ও রাস্তার কাজে নিয়োজিত অন্য শ্রমিকরা মিলে জামালকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেছেন।
রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহ্লাঅং মার্মা বলেন, ভুক্তভোগী মেয়েটি মানসিক ভারসাম্যহীন। ধর্ষণের ঘটনাটি শোনামাত্র পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে জামাল হোসেনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।তবে পাড়াবাসীরা প্রাথমিক শাস্তিমূলক ধর্ষকের মাথার চুল ছাটায় করে মুখে কালি মেখে এবং গলায় জুতার মালা পড়িয়ে ঘটনাস্থলসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে ঘুরানো হয়েছে। যাতে অন্যরা কখনো ধর্ষণের সাহস না করে। পরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আবদুল করিম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত মো. জামাল হোসেন জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। ভুক্তভোগী এবং তার পরিবারের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ভুক্তভোগীর পরিবারের কেউ মামলা করলে মামলা নেওয়া হবে।