।। নিজস্ব প্রতিবেদক,৭ এপ্রিল ২০২৫।।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযানে
ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যা মামলায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ-আরসা) প্রধান আতাউল্লা আবু আম্বার ওরফে জুনুনী’কে দুটি মামলায় আদালতে হাজির করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে প্রথমে গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামী আরসা প্রধান আতাউল্লা’কে বান্দরবানের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরুন পাল আদালতে চলমান মামলায় হাজির করে পুলিশ। পরে বান্দরবান জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আমলী আদালতের বিচারক নাজমুল হোসেন আদালতে তদন্তঅধীন মামলায় হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগ শুনে আসামীকে ফের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এসময় কারাগারে নেয়ার পথে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ-আরসা) প্রধান আতাউল্লা আবু আম্বার ওরফে জুনুনী স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, আরাকানের জমি হবে রোহিঙ্গাদের, ইনশাআল্লাহ আমরাই পাবো আরাকান রাজ্যের জমিন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের মানুষ ও সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আপনারা রোহিঙ্গাদের পাশে থাকবেন। আপনাদের ডক্টর ইউনুস ভালো মানুষ, আপনারা তার পক্ষে থাকবেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতের তথ্যমতে, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখার রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের কাছে মাদকবিরোধী অভিযানে নামে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও ডিজিএফআইয়ের বিশেষ একটি দল। তখন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ডিজিএফআইয়ের কর্মকর্তা রিজওয়ান রশদী। গুলিবিদ্ধ হন র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সদস্য সোহেল বড়ুয়া। গুলিতে শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরের রোহিঙ্গা তরুণী সাজেদা বেগমও (২০) নিহত হন।
এ ঘটনায় গতবছরের ২৩ নভেম্বর রাতে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ডিজিএফআই কক্সবাজার কার্যালয়ের মাঠ কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন মামলা করেন। আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্বার ওরফে জুনুনীকে প্রধান করে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। পরে চলতি বছরের ১৩ নভেম্বর মামলার কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মাহাফুজ ইমতিয়াজ ৫১ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বান্দরবান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আইনজীবী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী জানান, ডিজিএফআই কর্মকর্তা হত্যা মামলা’সহ দুটি মামলায় প্রধান আসামী আরসা প্রধান আতাউল্লা’কে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে ফের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান কোর্ট ইন্সপেক্টর রেজাউল করীম মজুমদার জানান, দুটি মামলায় দাযরা জজ আদালত এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে আরসা প্রধান’সহ কারাগারে থাকা ১০ জন আসামীকে হাজির করা হয়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। উক্ত মামলায় অভিযুক্ত ৫০ জন আসামীর মধ্যে অন্যরা এখনো পলাতক রয়েছে।
Previous Articleগাজায় ভয়াবহ পরিস্থিতি
Related Posts
Add A Comment